Toothache
Toothache – দাঁতের ব্যথা অনেকগুলি কারণ আছে, যেমন গর্ত হওয়ার জন্য ব্যথা হতে পারে, আঘাত, দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে গেলে, দাঁতের গ্রাইন্ডিং, দাঁতের এবসেস, দাঁতের সংবেদনশীলতা, দাঁত ফেটে যাওয়া, ফিলিং ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং মাড়ির রোগ। সুপারিশ করা হচ্ছে যে নিজে নিজে রোগ নির্ণয় না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনার দাঁতের ব্যথার আসল কারণ জানুন।
পুলপাল দাঁতের ব্যথা
পুলপাল টিস্যু যখন লালা বা বাতাসের সংস্পর্শে আসে তখন এই ব্যথা হয়। এর কারণ হল গভীর ক্যারিস, ক্ষয়, ফেটে যাওয়া বা দাঁতে ভাগ হয়ে যাওয়া। পুলপাল দাঁতের ব্যথার তীব্রতা অল্প সময়ের জন্য হতে পারে যেমন মিষ্টি, গরম বা ঠাণ্ডার প্রতি অতি-সংবেদনশীলতা থাকলে, অথবা অসহ্য সুতীব্র ব্যথাও হতে পারে।
পেরিয়োডন্টাল দাঁতের ব্যথা
দাঁতের আশে পাশে আঘাত লাগা দাঁতের ব্যথার মূল কারণ। এতে ট্রমা হতে পারে, অক্লুসাল চাপ হতে পারে, পাশের দাঁতের সাথে ঘর্ষণ হতে পারে। অন্যান্য কারণ হল দাঁতের চিকিৎসা যেমন দাঁত পরিষ্কার করা, দাঁতের ইন্টারফিয়ারেন্স, উঁচু ফিলিং বা গভীর ফিলিং, দাঁতের স্পর্শের এলাকার ভিতরে ফাঁক, ইত্যাদি। দাঁতের আশে পাশের এলাকার সংক্রমণ কিম্বা পাশের দাঁতের সরাসরি ফুলে যাওয়া, সাইনাসের গর্ত এবং ছড়িয়ে পড়া হাড়ের সংক্রমণ। যখন দেখা যায় যে পেরিয়োডন্টাল দাঁতের ব্যথায় বেশ কয়েকটি দাঁত প্রভাবিত হয়েছে তখন ব্রাসিজম বা নাইট বাইটিং বা ক্লেঞ্চিংকে কারণ বলে মনে করা হয়। হাড়ের বিকৃতির জন্য পিছনের দাঁতে অত্যধিক চাপ পড়ে এবং টি-এম-জে’তে ক্ষয়ের কারণে পরিবর্তন আসতে পারে। টি-এম-জে হল টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্টস যা নিচের চোয়াল কে মুখের বাকি অংশের সাথে জুড়ে রাখে। টি-এম-জে’তে আঘাত লাগলেও দাঁতের ব্যথা হতে পারে।
ফাঁটা দাঁত
ফাটল দাঁতের সব ক’টি স্তর ভেদ করতে পারে। স্তরগুলি হল এনামেল, ডেন্টিন বা পাল্প। উপসর্গগুলিও সেই অনুসারে ভিন্ন হতে পারে। ডেন্টিনের ভিতরে রয়েছে ডেন্টিনাল ট্যুবুল, আর তার ভিতরে যে তরল পদার্থ আছে, তার চলাচলের ফলে দাঁত ব্যথা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। আমরা যখন দাঁত দিয়ে খাবার চিবাই, তখন চাপ সৃষ্টি হয়, ফলে তরলের চলাচল শুরু হয়।
দাঁতের ব্যথা এর প্রতিরোধ – Prevention of Toothache
ডেন্টাল ক্যারিস, পুলপাল, পেরিয়োডন্টাল রোগ, ইত্যাদি রোগ হ্রাস করতে পারলে দাঁতের ব্যথা প্রতিরোধ করা যেতে পারে। নিচের উপদেশগুলি যদি আপনি পালন করেন তাহলে আপনি দাঁতের ব্যথা প্রতিরোধ করতে পারবেন:
দৈনন্দিন খাদ্যে সুক্রোজ’এর (চিনি) পরিমাণ সীমাবদ্ধ রাখুন। হাল্কা এবং ভারি ভোজনের মধ্যের সময় সীমা হ্রাস করুন। দিনে দু’বার দাঁত ব্রাশ করুন। ক্লোরহেক্সিডিন’এর মত ব্যাকটেরিয়া নাশক মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করুন। ফ্লোরাইড-যুক্ত টুথপেস্ট এবং জেল ব্যবহার করুন। ছিবড়ে-যুক্ত খাদ্য খান। খাবার গিলবার আগে ভাল করে চিবিয়ে নিন। চিনি-বিহীন চিউইংগাম ব্যবহার করুন। দাঁতের পৃষ্ঠতল মসৃণ করুন। সমস্ত ক্যাভিটি ফিল করুন।
দাঁতের ব্যথা এর চিকিৎসা – Treatment of Toothache
দাঁতের ব্যথার চিকিৎসা নির্ভর করে নির্ণয়ের উপরে। দাঁত ব্যথার কারণ জানার পর ডেন্টিস্ট এই পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করেন:
- পুঁজ বার করা: ডেন্টিস্ট পুঁজ এবং রস বার করে দেবেন।
- সরাসরি পাল্পের ক্যাপিং: আরাম দেওয়ার জন্য সাধারণত ক্যালসিয়ামের একটি দ্রবণ লাগান হয় যাতে পাল্পের পুনরুদ্ধার হয়। সাধারণত আয়োডোফর্ম ক্যালসিয়াম পেস্ট এই কাজের জন্য ব্যবহার করে হয়।
- রুট ক্যানাল চিকিৎসা: এটি খুবই সাধারণ এবং পরিচিত একটি পদ্ধতি। রুট ক্যানাল চিকিৎসা অথবা আর-সি-টি পদ্ধতিতে ক্ষতিগ্রস্ত এবং সংক্রামিত পাল্পকে বার করে নেওয়া হয় এবং গাট্টা-পারচার শঙ্কু পাল্পের গর্তে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। গর্তটি ভর্তি হয়ে গেলে এর উপরে ক্যাপ লাগিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে এটিই দাঁত বাঁচিয়ে রাখার সব চেয়ে ভাল পদ্ধতি এবং ডেন্টিস্টরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
- দাঁত নিষ্কাশন: দাঁত তুলে ফেলা হল সব চেয়ে কম পছন্দের চিকিৎসা। ডেন্টিস্টদের মতে, দাঁত বাঁচানোর সব চিকিৎসা বিফল হলে তবেই দাঁত তুলে ফেলার কথা ভাববেন। মানুষের দেহের প্রতিটি অঙ্গেরই নিজস্ব গুরুত্ব আছে। অতএব, মুখের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। যদি দাঁত তুলে ফেলতেই হয়, দুশ্চিন্তা করবেন না। দাঁতের আধুনিক পদ্ধতিতে দাঁত তুলে ফেলা খুবই সহজ এবং কোন ব্যথা লাগে না।
- ওষুধ: যদি দাঁতের ব্যথা না যায়, তাহলে বেদনা-নাশক ওষুধ দেওয়া হয়। যেমন ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম (ডাইভন), ইবুপ্রোফেন, ইত্যাদি। কয়েকটি ক্ষেত্রে এমোক্সিসিলিন এবং অগমেনটিন’এর মত এন্টিবায়োটিক দেওয়া হয়।
- শল্য চিকিৎসা: কিছু ক্ষেত্রে জিঞ্জিভেক্টমি এবং জিঞ্জিভোপ্লাস্টি, ফ্ল্যাপ অস্ত্রোপচার এবং গ্র্যাফট স্থাপন করতে হয়।
Pharmacist. Nahid Chowdhury
B.Pharm (Bachelor In Pharmacy)
Follow Fashion Food Health-
Facebook Group Link: https://www.facebook.com/groups/fashionfoodhealth
Facebook Page Link: https://www.facebook.com/fashionfoodhealth
Instagram Link: https://www.instagram.com/fashionfoodhealth
Twitter Link: https://twitter.com/FashionFoodHeal
LinkedIn Link: https://www.linkedin.com/company/fashionfood-health