Gastric Problem Solution | গ্যাস্ট্রিক সমস্যা

gastric-problem-solution

Gastric Problem Solution

Gastric Problem Solution is so tough now a days. গ্যাস্ট্রিক সমস্যা আমাদের দেশের একটা কমন রোগ। তবে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কিন্তু আসলে এটা কোন রোগ না। এটা সাধারণত কিছু বদভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। অন্য যেকোন রোগের চেয়েও এটা মাঝে মাঝে খারাপ আকার ধারণ করতে পারে। কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একদিনে হয়তো পুরোপুরি নিরাময় হবেনা। কিন্তু ক্রমাগত অভ্যাস করে গেলে আপনি একদিন পুরোপুরি এসিডিটি মুক্ত থাকতে পারবেন। আসুন এই আর্টিকেল থেকে জেনে নেই কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন অতি সহজে।

Table of Contents

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বিষয়টি আসলে কী ?

বৈজ্ঞানিকভাবে যে জিনিসটিকে গ্যাস্ট্রিক বলা হয়, সেটির আসল নাম হচ্ছে পেপটিক আলসার ডিজিজ বা পিইউডি। পাকস্থলী, ডিওডেনাম ও ইসোফেগাস—এই তিনটির যেকোনো জায়গায় যদি অ্যাসিডের কারণে ক্ষত হয়, এটাকে বলে পেপটিক আলসার ডিজিজ। এবং যখন বলা হচ্ছে গ্যাস্ট্রিক আছে, তখন বোঝা যাচ্ছে, তার পেপটিক আলসার রয়েছে। এটা পাকস্থলী বা ডিওডেনামে হতে পারে।

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কেন হয়?

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা তে আক্রান্ত ব্যক্তি বা রোগীর বেলায় বলা হয়, নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে বা ভাজা-পোড়া-তেলজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। নন-আলসার ডিসপেপসিয়া, এটাতে গ্যাস হয় বেশি, জ্বালা হয় বেশি, পেট ফুলে থাকে বেশি—সেটাতে ভাজা-পোড়া সাংঘাতিক ক্ষতিকর। তবে যদি এটি আলসার হয়ে থাকে, যেহেতু আলসারের একটি চিকিৎসা রয়েছে এবং অনেক সময় চিকিৎসা ছাড়াও এরা ভালো হয়ে যায়, এ জন্য এখানে অনেক বেশি সমস্যা হয় না। তবে ওই খাবারগুলো লক্ষণকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। যাঁর ব্যথা রয়েছে, তাঁর ব্যথাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। যাঁর জ্বলা রয়েছে, সেটা বাড়িয়ে দিতে পারে। এই বিষয়গুলো হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য আজকাল চিকিৎসার বিষয়টি এমন দিকে যাচ্ছে যে ব্যক্তির যা মনে চায় তাই খাবে, চিকিৎসক শুধু ওষুধ দিয়ে ভালো করে দেবে। খাওয়ার সীমাবদ্ধতা ছাড়া চিকিৎসা করতে চাই। আমরা আশা করছি, আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে এমন চিকিৎসা এসে যাবে, যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে খাবারের বেলায় বাছতে হবে না।

নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী খাবারের কথা বলতে গেলে, রিফ্লাক্স বলে মানুষের শরীরে একটি জিনিস রয়েছে, আমি যদি প্রতিদিন ২টার সময় ভাত খাই, একদিন যদি না খাই সে সময়ে পেট অ্যাসিডে ভর্তি হয়ে যাবে। তবে আমি যদি সেখানে দেরি করে খাই, আমার লক্ষণটা বেড়ে যাবে। এ জন্য নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার উপকার রয়েছে। আমাদের শরীর একটি অভ্যাসের মধ্যে চলে যায়। অভ্যাসের ব্যতিক্রম হলেই সমস্যা হয়। তবে ডিওডেনাল আলসার যেটা, সেখানে যদি প্রায় প্রায় খাবার দেওয়া হয়, তাঁদের লক্ষণগুলো কমতে সাহায্য হয়। তবে এখন যেই চিকিৎসা পেপটিক আলসারের রয়েছে, এখানে খাওয়ার বিষয়ে বাছতে হবে না। এর পরও আমরা বলি, আপনার যেটা খেলে অসুবিধা মনে হয়, সেটি এড়িয়ে যান।

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার উপায়

আদার ব্যবহার :

আদাতে এমন কিছু উপাদান আছে যার কারনে আপনার বদ হজম, জ্বালা পোড়া, বুকে ব্যথা কমে যেতে পারে। দেখুন এটির ব্যবহার

১ নং পদ্ধতি: আদা কুচি কুচি করে কেটে পানির মধ্যে মিশিয়ে তারপর পানি ফুটান । পানি ফুটানো হলে তা ১০ মিনিটের মতো নামিয়ে রাখুন এবং দিনে ২/৩ বার চায়ের মত পান করুন । এটির সাথে মধু মিশালে ভাল ফল পাওয়া যাবে।

২ নং পদ্ধতি: আদা বেটে রস করুন এবং এটি মধুর সাথে মিশিেয়ে দুপুর ও রাতের খাবারের আগে খেয়ে নিন।৩ নং পদ্ধতি: আপনার যখন ইচ্ছা হয় তখন একটু আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার শরীর ঠান্ডাও থাকবে।

দইয়ের ব্যবহার:

আপনি প্রতিদিন একটু করে দই খান। পেটের ব্যাকটেরিয়া দুর করে । ব্যাকটেরিয়া হরো গ্যাস্ট্রিক সমস্যার অন্যতম প্রধান কারন। কলা, মধু আর দই একসাথে মিশিয়ে এটি প্রতিদিন খা্ইতে পারেন।

আলুর ব্যবহার:

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আলুর রসের ব্যবহার করতে পারেন।

১ নং পদ্ধতি: আলু বেটে রস করে নিন। এরপর আলুর রস আর গরম পানি একসাথে মিশিয়ে প্রতিদিন দুপুর ও রাতের খাওয়ার দু ঘন্টা আগে খেয়ে নিন।

পানির ব্যবহার :

সবচেয়ে সহজ উপায় হলো পানির ব্যবহার।

প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে একদম খালি পেটে পুরা পেট ভর্তী করে পানি পান করুন। এভাবে ৩ সপ্তাহ পার করলেই উত্তম ফল পাবেন।

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা নিয়ে শেষ কথা

গ্যাস্ট্রিকের সঙ্গে জীবনযাপনের ধরন এবং খাবার-দাবারের সম্পর্ক খুবই কম। এগুলো নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। যেমন—দক্ষিণ ভারতের লোকেরা খুব বেশি ঝালজাতীয় খাবার খায়। ওখানে মানুষকে আধা কেজি করে ঝালজাতীয় খাবার প্রতিদিন দিয়ে দেখা হয়েছে। দেখা গেছে, তাঁদের মধ্যে আলসার বেশি হয়নি। সাধারণ লোকের যেমন রয়েছে, ওদের মধ্যেও তাই রয়েছে। বেশি ঝাল খাওয়ায় কোনো প্রভাব ফেলছে না। তবে যার গ্যাস্ট্রিক আছে, তার ঝাল খেলে লক্ষণগুলো বেশি প্রকাশ পেতে পারে। গ্যাস্ট্রিক আছে, তবে চিকিৎসা নেই, ঝাল খাচ্ছে, ওই সময়ে একটু বেশি হতে পারে। তবে ঝাল খেলে গ্যাস্ট্রিক হবে, সেটি ঠিক নয়।

Pharmacist. Nahid Chowdhury
B.Pharm (Bachelor In Pharmacy)

Follow Fashion Food Health-
Facebook Group Link: https://www.facebook.com/groups/fashionfoodhealth
Facebook Page Link: https://www.facebook.com/fashionfoodhealth
Instagram Link: https://www.instagram.com/fashionfoodhealth
Twitter Link: https://twitter.com/FashionFoodHeal
LinkedIn Link: https://www.linkedin.com/company/fashionfood-health

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here