Cow Milk
ছোট শিশু ও বাচ্চাদের পুষ্টির অন্যতম উৎস হলো দুধ। শিশু জীবনের প্রথম ৬ মাস সম্পূর্ণরূপে মায়ের বুকের দুধের উপর নির্ভরশীল থাকে। শিশুদের পাকস্থলী অপরিণত ও দূর্বল হওয়ার কারণে গরুর দুধের প্রোটিন (দুধের ছানা) হজম করতে পারেনা। তাই, ১(এক) বছর বয়সের পূর্বে শিশুকে গরু বা মোষের দুধ খাওয়ালে তার কষা বা শক্ত পায়খানা(Constipation) হতে পারে। শুধু তাই নয়, এই দু–ধরণের দুধের মধ্যে যে খনিজ ও প্রোটিন আছে তা ছোট শিশু ও বাচ্চাদের কিডনিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। এনএইচএস (NHS) এর নির্দেশিকা অনুসারে, শিশুর প্রথম ১ (এক) বছর বয়স পর্যন্ত প্রধান পানীয় হওয়া উচিত মায়ের দুধ বা ফর্মুলা দুধ। Cow Milk – গরুর দুধ এবং অন্যান্য বিকল্পগুলি ১(এক)বছর বয়সের পূর্বে প্রধান পানীয় হিসাবে খাওয়ানো উচিত নয়।
সাধারণভাবে, বেশিরভাগ বাচ্চারা ১২ মাস বয়স হওয়ার পরে (যদি তাদের দুধের অ্যালার্জি না থাকে) গরুর দুধ বা গরুর দুধজাত খাবার গ্রহণ করে উপকৃত হয়। মনে রাখতে হবে, যে সমস্ত বাচ্চারা দিনে দু’বার বা তিনবার মায়ের বুকের দুধ পান করে বা যারা এখনও ফর্মুলা (ছানা ছাড়া) দুধ পান করছে তাদের গরুর দুধ পান করার প্রয়োজন হয় না। তবে তাদের সম্ভবত অতিরিক্ত ভিটামিন ডি প্রয়োজন, যদি তারা শুধুই বুকের দুধের উপর নির্ভরশীল থাকে। এবং অন্য কোন উৎস থেকে ভিটামিন ডি না পায়।
বাচ্চাদের কতটা দুধের প্রয়োজন
- ০১ থেকে ০২ বছর বয়সী: প্রতিদিন ০২ কাপ (২৫০-৩০০ মিলিলিটার) দুধ।
- ০৩ বছর বা তার বেশি বয়সী: প্রতিদিন ০৩ কাপ (৩৫০-৪০০ মিলিলিটার) দুধ।
অবশ্য, যদি বাচ্চা দুধ পছন্দ না করে, তবে দুগ্ধজাত খাবার যেমন পনির, দই বা ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ উচ্চমাত্রার অন্যান্য খাবারগুলি খাওয়াতে হবে।ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য দিনে ০৩ কাপের বেশি দুধ পান করালে বাচ্চার ডায়েটে অন্যান্য খাবারগুলির স্থানচ্যুতি হতে পারে। এতে করে তাদের আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা এবং অন্যান্য পুষ্টির ভারসাম্যহীনতার ঝুঁকি বাড়ে।
বাচ্চাদের জন্য দুধ কেন গুরুত্বপূর্ণ
গরুর দুধে সব ধরণের প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে যা একটি শিশুর ক্রমবর্ধমান শরীরকে বেড়ে উঠতে সহায়তা করে এতে রয়েছেঃ
- উচ্চমানের প্রোটিন
- ক্যালসিয়াম (হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে)
- পটাসিয়াম (রক্তচাপ বজায় রাখতে সহায়তা করে)
- ভিটামিন ডি (হাড়ের স্বাস্থ্য এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখে)
- ভিটামিন বি ১২ (লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে)
- ভিটামিন এ (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে)
- ফসফরাস (হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে)
- ভিটামিন বি ২ (রাইবোফ্ল্যাভিন যা খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করে)
- ভিটামিন বি ৩ (নিয়াসিন যা খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করে)
অনেক শিশুদের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকে, এটি একটি পুষ্টিকর উপাদান যা শরীর সূর্যের সংস্পর্শে থেকে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করে। ভিটামিন ডি অভাব জনিত কারণে, বিশেষত খুব কম বয়সে, শিশুদের রিকেটস রোগ (হাড়কে নরমকরণ) এবং কম বৃদ্ধি হতে পারে। গরুর দুধ ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত ঘাটতি পুনরায় পূরণ করার অন্যতম সেরা উপায় এবং যা শিশুকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার দিন এবং কমেন্ট করুন।
Pharmacist. Nahid Chowdhury
B.Pharm (Bachelor In Pharmacy)
Follow Fashion Food Health-
Facebook Group Link: https://www.facebook.com/groups/fashionfoodhealth
Facebook Page Link: https://www.facebook.com/fashionfoodhealth
Instagram Link: https://www.instagram.com/fashionfoodhealth
Twitter Link: https://twitter.com/FashionFoodHeal
LinkedIn Link: https://www.linkedin.com/company/fashionfood-health